রবীন্দ্রনাথ বর্মন, হাকিকত নিউজ, কোচবিহার : কেন্দ্রের থেকে দেওয়া নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানালেন কোচবিহারের নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়ে তাঁর নিরাপত্তা জন্য সিআইএসএফ জওয়ানদের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিহির বাবু বলেন, “নির্বাচনের পর থেকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কার্যত কোন শৃঙ্খলা নেই। আমার বিধানসভা কেন্দ্র নাটাবাড়ি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপরে সন্ত্রাস করা হচ্ছে। মেয়েদের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা হচ্ছে, দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই কাজে যোগ দিতে পাচ্ছেন না। উল্টে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধেই মিথ্যে মামলা করা হচ্ছে। এতে ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে বিজেপি কর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এই অবস্থায় আমি আমার বিধানসভা এলাকার সন্ত্রাস কবলিত এলাকা গুলিতে গিয়েছি। আমি মনে করছি যদি বন্দুকধারী নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে এই অত্যাচারিত সন্ত্রস্ত মানুষের কাছে যাই, তাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। তাই আমার এই পদক্ষেপ।”অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর তোলা ওই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। কোচবিহারের তৃনমূল নেতৃত্ব পাল্টা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে তাঁদের নেতারা বিজেপি কর্মীদের সন্ত্রাস করার জন্য কিভাবে উসকে ছিলেন, তা সকলেই জানে। শুধু বদল নয়, বদলাও হবে, অনাথ করে দেওয়া হবে, এরকম কত বক্তব্য তাঁদের দিতে শোনা গিয়েছে। যেখানে যেখানে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে সেখানে সন্ত্রাস করার চেষ্টাও করেছে। মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বলে এখন নাটক করা হচ্ছে বলেও তৃণমূল নেতৃত্ব মিহির বাবুকে কটাক্ষ করেছেন। মূলত নির্বাচনের পরে কোচবিহার সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। খোদ রাজ্যপাল সেই সন্ত্রাসের অভিযোগ জেনে কোচবিহার সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় সরজমিনে পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখতে যান। কোচবিহারে এসে রাজ্যপালকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এতে বাংলায় নিজেদের বিধায়কদের নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তৎপর হয়। বিজেপি প্রত্যেক বিধায়কের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ওই নিরাপত্তা কর্মীরা আসার পরেই বিজেপি বিধায়কদের কেউ কেউ তা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাতে শুরু করেন। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামী যেমন তৃনমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসকে সামনে রেখে নিরাপত্তা কর্মী তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তেমনি বাঁকুড়ার শালতোরের বিধায়িকা চন্দনা বাউরি নিরাপত্তা কর্মীদের থাকার ঘরের সমস্যা ও আর্থিক সঙ্কটের কথা জানিয়ে তাঁর নিরাপত্তা কর্মীদের তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
কর্মীরা সন্ত্রাসের শিকার, নিজের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার আবেদন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর
May 29, 2021
70 Views
2 Min Read
You may also like
About the author

Nanda Dulal Bhatttacharyya
journalist by profession , have put good number of years in ground reporting
Add Comment