Home » বানভাসি মানুষদের মাঝে ত্রান বিতরণ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের

বানভাসি মানুষদের মাঝে ত্রান বিতরণ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের

আমিনুল হক,  হাকীকত নিউজ, ঢাকা:  বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে মানুষ দীর্ঘ দিন বানের জলে বন্দী।  বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে শনিবার দেশের উত্তরজনপদ গাইবান্ধায় আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। এসময় তিনি বানভাসি মানুষদের সহানুভূতি জানিয়ে সহায়তা দানের আশ্বাস দেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদী তীরবর্তী এলাকায় সি প্লেনে অবতরণ করেন। প্রত্যন্ত চরের উজাল ডাঙ্গা গ্রামের বন্যা কবলিত পরিবারগুলোর সাথে কথা বলেন। এসময় রাষ্ট্রদূত মিলার বন্যাকালীন চর এলাকার অসহায় দরিদ্র নারীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে আরো কি কি ধরনের উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহন করা প্রয়োজন তা জানতে চান। পরিদর্শনকালে বেসরকারি সংগঠন এসকেএস ফাউন্ডেশন এবং কেয়ার বাংলাদেশ বাস্তবায়িত সৌহার্দ্য কর্মসূচির আওতায় ৩টি ভিটা উঁচুকরণ প্রকল্প ঘুরে দেখেন এবং মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় মি. মিলার বলেন, বন্যাদুর্গতদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ বাংলাদেশের জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা এবং বাংলাদেশ সরকার, কেয়ার এবং এসকেএস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বের নিদর্শন। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাহাত গাওহারী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রায়হান দোলন, ইউএসএইডের পরিচালক থোমাস পপি, কেয়ার বাংলাদেশের চীফ অব পার্টি ওয়ালটার মাওসা, এসকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান রাসেল আহম্মেদ লিটন এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।  কেয়ার বাংলাদেশ এক বার্তায় জানিয়েছে,  বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের চলমান সহযোগিতার অংশ হিসেবে উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত অঞ্চলে ঘর-বাড়ি বা জীবিকা হারানো নাজুক পরিবারগুলোকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এর মাধ্যমে জরুরী মানবিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার ধারাবাহিকতায়, গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের সৌহার্দ্য-৩ কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন ৭টি গ্রামের ৫৮০টি পরিবার পর্যায়ক্রমে সহায়তা প্রদান করা হবে। মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রত্যেকটি পরিবারকে নগদ ৪৫০০ টাকা এবং নন ফুড আইটেম হিসেবে সাবান, গুঁড়া সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্লাস্টিক মগ, প্লাস্টিক বালতি (২০ লিটার) এবং মাস্ক প্রদান করা হবে।