Home » স্কুলশিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পেলেন মেখলিগঞ্জের পরেশ, খুশির হাওয়া কোচবিহারে

স্কুলশিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পেলেন মেখলিগঞ্জের পরেশ, খুশির হাওয়া কোচবিহারে

রবীন্দ্রনাথ বর্মন,  হাকিকত নিউজ, কোচবিহার :  তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস মন্ত্রিসভা গঠন করলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবারের এই মন্ত্রীসভায় বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মন্ত্রিত্ব পদকে কেন্দ্র করে খুশির হাওয়া বইল কোচবিহারে। প্রত্যাশা মতোই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন বিধায়ক পরেশ চন্দ্র অধিকারী। আজ রাজভবনে মোট ৪৩ জন মন্ত্রী শপথ বাক্য পাঠ করেন। তার মধ্যে তিনজন ভার্চুয়াল মাধ্যমে শপথ বাক্য পাঠ করেন। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার দপ্তর বন্টন হয়ে গেছে। উত্তরবঙ্গ থেকে মোট পাঁচজন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক পরাজয় ঘটে। তারমধ্যে কোচবিহারের নটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটিতেই তৃণমূলের বিপর্যয় হয়। দুইটি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। একটি সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র অপরটি মেখলিগঞ্জ। তবে আজ মেখলিগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মন্ত্রিসভায় শপথ গ্রহণ করেন এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তরে মন্ত্রীত্বের ভার পান। এদিন মন্ত্রীত্ব পদ পাবার পর পরেশ চন্দ্র অধিকারী। তিনি জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে স্কুল শিক্ষা দপ্তর দিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় যে গুরু দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমি তা করে পালন করার চেষ্টা করব। বর্তমানে স্কুল-কলেজ বন্ধ। তবে করোনা কেটে গেলে যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাবে, তখন আমি যাতে দ্রুত শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায় তা মনে প্রাণে চেষ্টা করব এবং নিজ দায়িত্ব পালন করব।’“জেলার মন্ত্রী হিসেবে আপনার দায়িত্ব বেড়ে গেল” এবিষয়ে পরেশ বাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘আমি এখন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক মন্ত্রী, তবে গোটা কোচবিহার জেলার মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি কোচবিহার জেলার উন্নয়নের জন্য যা যা করার তা তা করবো। আগে যেভাবে সাধারণ মানুষের সাথে মেলামেশা করেছি অভাব-অভিযোগ শুনেছি, সেভাবে মন্ত্রী হওয়ার পরেও আমার মধ্যে কোন বদল হবে না। মানুষের কল্যাণে যাতে লাগতে পারি তার জন্য যা যা করণীয় আমি করব। আমি যা ছিলাম তাই আছি। শুধু মন্ত্রিসভায় বিধায়ক হিসেবে মন্ত্রী হয়েছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার কাজ যাতে করতে পারি, তাই সকলের কাছে আশীর্বাদ চাইছি। আগামী বৃহস্পতিবার কিংবা শুক্রবার কলকাতা থেকে ফিরে এসে প্রথমে মেখলিগঞ্জ তারপর কোচবিহার সদরে যাবো। সকলের সঙ্গে দেখা করব, কুশল বিনিময় করব এবং কোচবিহারের উন্নয়নের জন্য মানুষের পরামর্শ চাইব।’ বিধায়ক থেকে একেবারে তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রিসভায় স্কুল শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী মন্ত্রী হওয়ায়, স্বাভাবিকভাবেই খুশি মেখলিগঞ্জ থেকে কোচবিহার সর্বত্র।