Home » থানায় পিটিয়ে হত্যা ৩পুলিশের যাবজ্জীন ২ সোর্সের সাতবছর করে জেল

থানায় পিটিয়ে হত্যা ৩পুলিশের যাবজ্জীন ২ সোর্সের সাতবছর করে জেল

আমিনুল হক, হাকীকত নিউজ,  ঢাকা : বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে যতগুলো ঐতিহাসিক বিচারিক রায় এসেছে, তার প্রায় সব কটিই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাত ধরেই। বুধবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে দৃঢ়ভাবে ফের উচ্চারণ করলেন, তিনি কোন ‘অপরাধীকে,অপরাধী হিসেবেই দেখেন। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে শাস্তি পেতে হবে এটাই রীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই কথা ধারাবাহিকতার পর ধরেই আজ এক ঐতিহাসিক  রায় আসে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে। থানায় ধরে নিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন পুলিশ সদস্যের যাবজ্জীবন এবং পুলিশের দুই সোর্সের ৭ বছর করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর একজন অবসর প্রাপ্ত মেজরের নিহতর ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯জন পুলিশসদস্য এখন কারাগারে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সিরিজ মামলা হয়েছে। একের পর এক মামলার পর বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে ‘সরকারী উর্দির আড়ালে কত বড় সন্ত্রাসী তথা সমাজবিরোধী কাজ করেছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রজু হয়েছে এরই মধ্যে। সর্বশেষে রাজধানী ঢাকার পল্লবী থানায় বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে ধরে থানায় এনে অকথ্য নির্যাতনে প্রায় হারায় জনি নামের এক যুবক। পুলিশ হেফাতে মৃত্যুর পরও থেমে থাকেনি এসআই জাহিদ ও তার অপর দুই সহযোগী। তারা সরকারী উর্দির আড়ালে নানা রকম অপরাধ করে একটি বাহিনীর প্রতি মানুষের অবিশ^াস জন্ম দিয়েছে। অবশেষে ৩ পুলিশের যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পুলিশের দুই সোর্সের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এদিন দুপুরে জনকীর্ণ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই ঐতিহাসিক রায় দেন।  উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইন প্রণয়নের ৭ বছরের মাথায় এই আইনে প্রথম কোন মামলার রায় হয়েছে। নিহত জনির পরিবার ও রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে ৫ আসামির সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা করেছিলেন।